আসল জামদানি শাড়ি চিনবেন কিভাবে? How To Recognize The Real Jamdani Saree?
জামদানি আভিজাত্য ও রুচিশীলতার অন্যতম প্রতীক হিসাবে পরিচিত। সব নারীরাই জামদানি শাড়ি পছন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটি দেশের গৌরব হিসাবে সম্মান পেয়েছে। জামদানি হলো আমাদের গর্ব।
জামদানি শাড়ি কি?
প্রাচীনকাল থেকেই জামদানি নামকরণে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তবে একটি মত অনুসারে বলা যায়, জামদানি শব্দটি ‘ফারসি’ ভাষা থেকে এসেছে। অর্থাৎ জামা অর্থ কাপড় এবং দানা অর্থ বুটি, সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়। জামদানি শাড়ি হল প্রাচীন বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্য।
আসল জামদানি শাড়ি কেমন?
আসল জামদানি শাড়ি চেনার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
১. আসল জামদানি শাড়ির দুই পাশেই কাজ করা থাকে এবং আঁচলের দিকটায় বেশি কাজ করা থাকে।
২. আসল জামদানি শাড়ি দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন হাফ সিল্ক ও পিওর সুতি।
৩. আসল জামদানি শাড়ি পাতলা হয়ে থাকে এবং পড়ে আরামদায়ক।
৪. সুতার মান কাজের সূক্ষ্মতা দেখে আসল জামদানি শাড়ি চিনতে পারবেন।
৫.আসল জামদানি তৈরি করতে সর্বনিম্ন সময় লাগে এক মাস।
৬. ডিজাইনগুলো হয় খুবই মসৃন। কারিগর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করাতে সুতার কোন অংশ বের হয়ে থাকে না।
৭. আসল জামদানি শাড়ি যত্ন করে রাখতে হয় তা না হলে টেকসই হয় না
নকল জামদানি শাড়ি চিনবেন কিভাবে?
নকল জামদানি শাড়ি মোটা ও খসখসে হয়। বুনন করার সুতার অংশ বের হয়ে থাকে। এবং সুতা গুলো কাটা কাটা অবস্থায় বের হয়ে থাকতে পারে এতে আরামদায়ক হবে না। নকল জামদানি শাড়ির অর্থাৎ মেশিনে বোনা শাড়ির পুরো অংশেই পাড় থাকে। নকল জামদানি অনেক বছর পড়া যায়। নকল জামদানি মেশিনে তৈরি করাতে তৈরি করতে সময় লাগে কম।
জামদানি শাড়ি তৈরির ধাপ:
জামদানি শাড়ি কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে?
জামদানি শাড়ি বর্তমানে পুরান ঢাকায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়, ঢাকার মিরপুরে, ঢাকার ডেমরায় প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়।
দামঃ সর্বনিম্ন ২,৫০০ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অথবা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।
বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্যের আরেকটি দিক হলো জামদানি শাড়ি। তাই জামদানি শাড়ি বাংলার সবার ঘরে ঘরে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছি। এটি দেশের যেমন গর্ব তেমনি নারীদের কাছে থাকলে নারীদেরও গর্ব।
আরো পড়তে: